পুরুষাঙ্গের সম্মুখে ঝুলতে থাকা বাড়তি চামড়াটুকু (Prepuceal skin) অনেক সময় লিঙ্গের শীর্ষদেশের (Glans penis) সাথে আটকে গিয়ে যে সমস্যা করে তার নামই ফাইমোসিস। বিশেষ করে ছোট্ট ছেলেদের বাবা-মা অনেক সময়ই এই নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভোগেন। প্রচলিত ভাষায় একে বলা হয় লিঙ্গ না ফোটা।

মনে রাখতে হবে শিশুর ৬ বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষাঙ্গ প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো নাও ফূটে উঠতে পারে তাই এ নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই তবে প্রসাব করার সময় যদি ঐ বাড়তি চামড়া সহ লিঙ্গের শীর্ষ ফুলে উঠে বা চামড়া ফেটে যাবার উপক্রম হয় কিংবা শিশুর মূত্রত্যাগ এ কষ্ট হয় তবে ধরে নিতে হবে সেটা স্বাভাবিক নয়।

বড়দের ও ফাইমোসিস হয়ে থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ব্যালানাইটিস (Balanitis) রোগের কারনে হয়ে থাকে। বড়দের এমনটি হলে লিঙ্গ নিয়মিত পরিস্কার করা সম্ভব হয়না এবং তা থেকে অনেক সময় পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। ছোটো অথবা বড় যারই ফাইমোসিস হোকনা কেনো এর একমাত্র চিকিৎসা হলো পুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া টুকু ফেলে দেয়া বা খাতনা করে নেয়া।

ফাইমোসিস রোগের চিকিৎসা (অপারেশন)

ফাইমোসিস রোগের কারণ:

যখন ফাইমোসিস জন্মগত কারণে হয় তখন এই রোগ শিশুর জন্মের সময়ই দেখা যায় এবং এটি পুরুষাঙ্গের প্রান্তীয়ভাগে ত্বকের সাথে চামড়া জোড়া লেগে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও যে সব কারণে এই রোগ হয়ে থাকে সেগুলো হলঃ

>>অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা

>>ব্যালানাইটিস অথবা ব্যালানোপস্থাইটিসের পুনরাবৃত্তি ঘটা। এই ইনফেকশন থেকে পুরুষাঙ্গের ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং এর থেকে প্যাথোলজিক ফাইমোসিস হয়ে থাকে।

>> পুরুষাঙ্গের প্রান্তীয়ভাগের চামড়া জোরপূর্বক পিছনের দিকে টানলে ক্ষত বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র এবং ফাইমোসিস দেখা দিতে পারে।

>> প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদেরও এই রোগ হতে পারে যদি তাদের পুরুষাঙ্গের স্থিতিস্থাপকতা এবং ইরেকশন কমে আসে।